ভাগলপুরে বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ি, মৃত শিশু-সহ ১২
তীব্র বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ি। নিহত কমপক্ষে ১২ জন। আহত অনেকে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের ভাগলপুরের তাতারপুর থানা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে এই বিস্ফোরণ হয়। বাড়ির মধ্যে বাজি তৈরি হচ্ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। খবর পেয়ে দ্রুত অকুস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। প্রথমে সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাদের মধ্যে এক শিশুও ছিল। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২। আরও বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর। এই ঘটনার পর টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্ধারকাজ যাতে দ্রুত চালানো হয়, সেই বার্তা দিয়েছেন মোদি। এই প্রসঙ্গে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি।बिहार के भागलपुर में धमाके से हुई जनहानि की खबर पीड़ा देने वाली है। मैं घायलों के शीघ्र स्वस्थ होने की कामना करता हूं। घटना से जु़ड़े हालातों पर मुख्यमंत्री @NitishKumar जी से भी बात हुई। प्रशासन राहत और बचाव कार्यों में लगा हुआ है, और पीड़ितों को हर संभव सहायता दी जा रही है। Narendra Modi (@narendramodi) March 4, 2022সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ভাগলপুরের জেলা শাসক সুব্রত কুমার সেন জানান, যে বাড়িতে এই বিস্ফোরণ হয়েছে, সেই পরিবারের সকলে বাড়িতে বাজি করতেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।বিস্ফোরণে পাকা বাড়িটি সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছে। এমনকী বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই ছিল যে পাশের বেশ কয়েকটি বাড়ির দেওয়ালও ভেঙে গিয়েছে। মাঝরাতে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত বিকট শব্দ শোনা যায়। কেঁপে ওঠে মাটি। ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন প্রতিবেশীদের অনেকে। তাঁরা গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের বেশ কয়েকজনের শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক বলে খবর।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে, বিস্ফোরণের আসল কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। খবর পেয়েই উদ্ধার কাজ চালাতে শুরু করে পুলিশ। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়েছে ফরেনসিক টিম। বিস্ফোরণের ধরন ও কারণ অনুসন্ধান করার চেষ্টা করবেন তাঁরা। এলাকায় এটাই প্রথম ঘটনা নয়। ২০০৩ সালে ওই আতিশবাজের বাড়ির পাশেও সুভাষ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে একইভাবে বিস্ফোরণ হয়েছিল। গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন সুভাষ।